Bronchial Asthma / ব্রঙ্কিয়াল এ্যাজমা সকল বয়সের মানুষের হইতে পারে, তবে পৌড় বয়সের লোকদের এই রোগ বেশি হয়।হাঁপানি রোগের চিকিৎসা কষ্টকর। এটি শ্বাসকষ্টের একটি রোগ। এ্যাজমা বা হাঁপানি নানা কারনে হয়ে থাকে।
সারা বছর মোটামুটি থাকলেও শীতকালে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। ফুসফুসের ইনফেকশন কিংবা এলার্জি থেকে হাঁপানি রোগ হয়ে থাকে। কোন কারনে শ্বাস- প্রশ্বাস নেয়ার নালী গুলো সংকীর্ণ হয়ে যায় বা নালীগুলোতে কফ জমিয়া বাতাস যাতায়তের পথে বাধা সৃষ্টি করে তাকেই হাঁপানি বা Bronchial Asthma বলে। কখনো রক্তের Esonophil বৃদ্ধি হইয়া এ রোগ হয়। এটা একটা বংশগত রোগ ও বলা যায়।
- ইডিওপ্যাথিক এ্যাজমা: এই রোগের সঠিক কোন কারন খুজে পাওয়া যায়নি।কোন কোন ক্ষেএে বলা হয় পিতৃকুল মা মাতৃকুলে হাঁপানি রোগী ছিল বা এটিকে Generic ও বলা হয়।
- সেকেন্ডারি এ্যাজমা: Esonophil ইসনোফিল বাড়িলে অথবা পুরাতন T.B রোগ বা পুরাতন ব্রোঙ্কাইটিসের রোগ বা ফুসফুসের ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীর এ্যাজমা হলে তাকে সেকেন্ডারি এ্যাসমা ( Secondary Asthma) বলে।
- কার্ডিয়াক এ্যাসমা: হৃদরোগে আক্রান্ত বা উচ্চরক্তচাপের রোগী এ্যাসমায় আক্রান্ত হলে তাকে বলে কার্ডিয়াক এ্যাসমা ( Cardiac Asthma)।
- রেনাল এ্যাজমা : কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগী অনেকদিন ভোগার পর শেষদিকে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এমন অনেক খাদ্য আছে যেমন : গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, হাসের ডিম, চিংরি, বোয়াল মাছ এগলো নিয়মিত আহার করলে শ্বাসনালীর মাংসপেশির খিচুনিতে বাতাস যাতায়াতের পথ চিকন হয়ে যায় আবার খাদ্যর ক্রিয়া শেষ হলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। অতি দুর্বলতা ও নিঃশ্বাসের ফলে বায়ুতে উপযুক্ত পরিমান
হাঁপানি রোগের লক্ষন
- হঠাৎ এ রোগে আক্রান্ত হইয়া দম বন্ধ হইবার উপক্রম হয়।
- ঘুমের মধ্যে এ রোগ শুরু হলে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় এবং অনেক শ্বাসকষ্ট অনুভব হয়।
- শ্বাস নেয়ার সময় রোগীর অনেক কষ্ট হয়। পুরাতন রোগীদের এই সমস্যা শুরু হলে বাহিরে বের হয়ে আসতে হয়। বদ্ধ জায়গায় তারা শ্বাস নিতে পারে না।
- কাশি থাকে কিন্তু কফ বের হয় না।
- শ্বাস প্রশ্বাস নিলে দূর থেকে বুঝা যায়।
- শ্বাস নিলে পাঁজরের মাংস ও গলার গোড়ার মাংসপেশি নিচের দিকে যায়।
- কোন ভারি কাজ করলে শ্বাস বেড়ে যায়।
- ভারী কোনো জিনিস তুলতে পারে না।
- রোগীর বুকে কান পাতিলে বা স্টেথোস্কোপ দিলে শোনা যায় গড় গড় শব্দ।
- ছোট ছেলে মেয়েদের ব্রঙ্কাইটিস বা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া দেখা দিলে কাশির সাথে হাঁপানি দেখা দেয়।
হাঁপানি রোগের চিকিৎসা
- মৃদু হাপানি
Tab. Phenobarbiton ( ফেনোবারবিটন)
শিশুদের জন্য অর্ধেক করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার
বয়স্কদের জন্য ১ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার
2.সকল প্রকার ব্রঙ্কোস্পাজম, ব্রঙ্কিয়াল এ্যাজমা, ক্রনিক ব্রম্কাইটিস, ষ্টেটাস এ্যাজমাটিকস এ Sulbutamol ( সালবিউটামল) যুক্ত ঔষধ দেয়া যায়। যেমন : Tab. Salbutal 2/4 mg, tab. Salmolin 2/4 mg, tab Butol 2/4 mg এক থেকে দুইটি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার।
অথবা,
- শিশুদের জন্য Syrup. Brodil, syrup. Salbutal, syrup. Asmolex. ২-৬ বছরের শিশুদের আধা চামচ থেকে এক চামচ দিনে ৩ বার। ৬-১২ বছরের শিশুদের জন্য এক চামচ করে দিনে ৩ বার, ১২ বছরের বেশি শিশুদের জন্য ২-৪ বামচ করে দিনে ৩ বার।
অথবা,
- মধ্যম ধরনের হাঁপানির জন্য Tab. Theophyline ( থিয়োফাইলিন) যুক্ত ঔষধ : Tab. Contine 200/400, Tab. Unicontin 200/400, Tab. Theolate 200/400একটি করে ট্যাবলেট দিনে ২-৩ বার।
সিরাপ: Syrup : Contine, Syrup: Theonate,Syrup: Thanglat শিশুদের জন্য আধা থেকে এক চামচ করে ৩ বার।
3.এলার্জি, ঠান্ডা বাতাস বা দূষনীয় আবহাওয়া ও পরিবেশের কারনে হাঁপানি প্রতিরোধক হিসেবে সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট ( Sodium Coromoglycate) যুক্ত ঔষধ দিতে হবে :
- Intal Inhaler ( ইনটেল ইনহেলার) প্রতিবার ২ চাপ করে মুখের মধ্যে দিতে হবে দিনে ৩ থেকে ৪ বার।শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দিনে ৫ থেকে ৬ বার দেয়া যাবে এতে কোন সমস্যা হবে না। দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
- গ্যাস ব্যবহারের সঙ্গে ketotifen জাতীয় ঔষধ দীর্ঘদিন খেলে হাঁপানি কমে যায়। কিটোটিফেন ( ketotifen) জাতীয় ঔষধ গুলো হলো: Tab. Tofen – Beximco pharma, Tab. Kofen – Opsonin pharma, Tab. Prosma – ACI pharma খাবারের মধ্যে বা খাবার পরে ১ টি করে ট্যাবলেট দিনে ২ বার। ২ বছরের উপরে শিশুদের জন্য সিরাপ দিতে হবে যমন: syrup. Tofen, syrup. Kofen, syrup. Prosma ১ চামচ করে দিনে ১ বা ২ বার।
- হাঁপানি দীর্ঘদিনের হলে উপরের ঔষধের সাথে Becloforthe Inhelar ( বকলোফোর্থ ইনহেলার) দিতে হবে ২ চাপ করে দিনে ২ বার।
- কফ বাহির করার জন্য গরম পানিতে Menthol দিয়ে ভাপ নিতে হবে।
- আক্রান্ত রোগী চূড়ান্ত অসুস্থ হলে চোখ ও মুখ কালো রঙের হলে বা কঠিন ভাবে শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত ইনজেকশন দিতে হবে। যেমন : Inj. Oradexon ( ওরাডেক্সন) , Inj. Decason ( ডেকাসন) বয়স অনুসারে ১ টি বা ১/২ দিতে হবে।
স্টেরয়েড এ কাজ না করলে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
হাঁপানি কমানোর জন্য উপদেশ
- মানসিক শান্তির চেষ্টা করতে হবে বা কোন ধরনের মানসিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসা নিতে হবে।
- হালকা ব্যয়াম করতে হবে।
- হালকা পুষ্টিকর খাদ্য দিতে হবে।
- রোগীর ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- যখন হালকা ধরনের হাঁপানি থাকে তখন ধুতরা পাতা পুড়িয়ে গন্ধ নিলে উপকার পাওয়া যাবে।
- ঠান্ডা বা ধুলাবালির কাজ বর্জন করতে হবে।
- কার্ডিয়াক এ্যাজমার জন্য Cardiologist দেখাতে হবে।
- বাসায় বসে Inhaler নিতে হবে।
- Renal / রেনাল এ্যাজমার জন্য Nephrologists দেখাতে হবে।
তাৎক্ষনিক ভাবে হাঁপানি রোগের চিকিৎসা
রোগীর শ্বাসকষ্ট যখন বেশি হবে তখন দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য দরকার হবে একটি নেবুলাইজার মেশিন। বয়স্কদের জন্য একটি inj. Windel plus ও একটি inj. Budicort নেবুলাইজার মাক্সের মধ্যে দিয়ে তারপর ১৫/২০ মিনিট কৃত্রিম শ্বাস নিতে হবে। তাহলে দ্রুত শ্বাস কমিয়া যাবে। আর বাচ্চাদের জন্য ০.৩ মি:লি: inj. Windel plus + ১ মি:লি: inj. Budicort + ২ মি:লি: নরমাল স্যালাইন মিশিয়ে তারপর ১৫/২০ মিনিট গ্যাস দিতে হবে।
যে কোন ধরনের রোগ সম্পর্কে এবং বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে জানতে আমার Purely Health Tips ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।আসা করি সব কিছু জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে World Health Organisation ( WHO) এর তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। যা আপনাকে বিষধ ভাবে জানে সাহায্য করবে।
Leave a Reply