নাপা ৫০০ মি: গ্রা: ট্যাবলেট :
নাপা ৫০০ মি: গ্রা: ট্যাবলেট সর্দি, জ্বর,মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা,মাসিকের ব্যাথ, দাঁতের ব্যাথা,কানে ব্যাথা,জয়েন্টের ব্যাথা,প্রদাহজনিত ব্যাথার জন্য ব্যবহার করা হয়।
নাপা ৫০০ মি: গ্রা: ট্যাবলেট এর ডোজ :
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য একসাথে ২ টি করে ৫০০ মি: গ্রা: ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর সেবন করা যায়। তবে প্রতিদিন ৪০০০ মি: গ্রা: এর বেশি নয়।
৯-১২ বছর বয়সীদের জন্য ১ টি করে ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে ৩ থেকে ৪ বার ব্যাবহার করতে পারবে।
নাপা সিরাপের কাজ :
আমরা নাপা সিরাপ সাধারনত শিশুদের জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু নাপা সিরাপ সব বয়সের মানুষের জন্য ব্যাবহার করা যাবে। সেক্ষেএে এর ডোজের তারতম্য হবে।
নাপা সিরাপ :
৩ মাস বয়সী শিশু থেকে নাপা সিরাপ দেয়া হয়।জ্বর ও ব্যাথার জন্য
৩ মাস থেকে ১ বছর ১/২ চামচ থেকে ১ চামচ প্রতিদিন ৪ বার।
১-৫ বছরের শিশুদের জন্য ১/২ চামচ থেকে ২ চামচ সিরাপ ৪ বার।
৫-৮ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ২-৪ চামচ সিরাপ ৪ বার।
৮-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ১ টি ৫০০ মি: গ্রা: ট্যাবলেট প্রতিদিন ৪ বার।
বয়স্কদের জন্য ২ টি করে ট্যাবলেট প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পর পর সর্বোচ্চ ৪ বার।
সাপোজিটরি দেয়ার কতক্ষণ পর জ্বর কমে:
যেসব শিশুদের বা বয়স্কদের ট্যাবলেট গিলতে সমস্যা বা অতিরিক্ত জ্বরের কারনে ট্যাবলেট বা সিরাপ খাওয়ার পরেও জ্বর কমে না তাদের জন্য সাপোজিটরি ব্যাবহার করা হয়। সাধারণত সাপোজিটরি দেয়ার ৩০ মিনিটের মাধ্য জ্বর কমে যায়। কিন্তু কিছু কিছু সময় সাপোজিটরি দেয়ার পরও জ্বর নাও কমতে পারে।তাহলে জরুরি ভাবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
নাপা সাপোজিটরি দেয়ার নিয়ম:
বয়সের উপর ভিত্তি করে সাপোজিটরি দেয়া হয়ে থাকে। নাপা সাপোজিটরি দেয়ার নিয়ম অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।
০-৩ মাস বয়সের শিশুদের জন্য ৬০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর সর্বোচ্চ ৪ বার। এসময় বাচ্চাদের সাধারণত টিকা দেয়ার কারনে জ্বর হয়ে থাকে।
৩ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ৬০-১২৫ মি: গ্রা: সাপোজিটরি পায়ুপথে দেয়া হয় প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পর পর।
১ বছর থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ১২৫-২৫০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর শিশুর পায়ুপথে দিতে হবে।
৫-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ২৫০-৫০০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর পায়ুপথে দিতে হবে।
বয়স্কদের জন্য ৫০০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পর পর পায়ুপথে দিতে হবে।
বি: দ্র: থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপার পর যদি ১০২° বা তার বেশি হয় তাহলেই সাপোজিটরি দিতে হবে।
নাপা সাপোজিটরি দেয়ার পরও জ্বর না কমলে করনীয় :
নাপা সাপোজিটরি দেয়ার পরও জ্বর না কমলে করনীয় হিসেবে রোগীর সমস্ত শরীর কুসুম গরম পানি করে মুছে দিতে হবে যাকে বলা হয় স্পঞ্জ বাথ (Sponge Bath) এতে অতি দ্রুত জ্বর কমতে শুরু করে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে সম্পূর্ণ শরীর মুছতে হবে। আমরা অনেক সময় শুধু মাথা মোছাই এতে জ্বর কমে না। সমস্ত শরীর মোছার পরও জ্বর না কমলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
নাপা এক্সটেন্ড বা নাপা ৬৬৫ মি: গ্রা: এর কাজ:
নাপা এক্সটেন্ড বা নাপা ৬৬৫ মি: গ্রা: ট্যাবলেট শরীর ব্যাথা,মাথা ব্যাথা,জ্বর,গলা ব্যাথা, মাসিকের ব্যাথা, অস্টিও আর্থরাইটিস,সর্দি জ্বরের জন্য ব্যাবহার করা হয়। প্রতিটি এক্সটেন্ড ট্যাবলেটে রয়েছে প্যারাসিটামল ৬৬৫ মি: গ্রা: যা দ্রুত ব্যাথা নিরাময়ে কাজ করে।
নাপা এক্সটেন্ড বা নাপা ৬৬৫ মি: গ্রা: এর ডোজ :
নাপা এক্সটেন্ড বা নাপা ৬৬৫ মি: গ্রা:(Napa Extend or Napa 665 mg) হলো জ্বর ও ব্যাথা নাশক ঔষধ।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর একটি করে ৬৬৫ মি: গ্রা: ট্যাবলেট সেবন করা যাবে। দিনে সর্বোচ্চ (২৬৬০ মি: গ্রা:) তবে তীব্র ব্যাথার জন্য ২ টি করে ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে।
তবে ডোজার ক্ষেত্রে নিম্নে লিখিত বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে :
১. শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ দিতে হবে।
২. কিডনি ও লিভারে সমস্যা জনিত রোগীদের ক্ষেত্রে ডোজার পরিমান কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। তা নাহলে উপকারের থেকে অপকার বেশি হবে।
৩. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য অতিরিক্ত ডোজ এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত ডোজ গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নাপা রেপিডের ব্যাবহার:
নাপা রেপিড (napa rapid) হলো দ্রুত জ্বর ও ব্যাথা নিরাময়কারী ঔষধ। এটি প্যারাসিটামল (paracetamol) গ্রুপের একটি অতি দ্রুত কার্যকারী ঔষধ। অন্যান্য প্যারাসিটামলের থেকে অনেক দ্রুত শরীরে মিশে কাজ শুরু করে।প্রচন্ড মাথা ব্যাথা ও তীব্র জরে নাপা রেপিড ( napa rapid) ব্যাবহার করা হয়।
নাপা রেপিড এর ডোজ :
৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ১ টি করে নাপা রেপিড ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার (২০০০ মি:গ্রা:) ব্যাবহার করা যেতে পারে।
বয়স্কদের জন্য ২ টি করে নাপা রেপিড ( napa rapid) ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর ৪ বার ( ৪০০০ মি: গ্রা:) ব্যাবহার করা যেতে পারে।
৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নাপা রেপিড ট্যাবলেট ব্যাবহারের কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
নাপা রেপিডের নির্দেশাবলি:
১. কিশোরদের জন্য নাপা রেপিড ( napa rapid) ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
২. লিভার ও কিডনি সমস্যা জনিত রোগীদের ক্ষেত্রে ডোজার পরিমান কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
৩. ওভর ডোজ এড়িয়ে চলতে হবে। এতে উপকারের থেকে অপকার বেশি হতে পারে।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
নাপা ওয়ান ( Napa One) :
নাপা ওয়ান ( Napa One) বা নাপা ১০০০ মি: গ্রা: হলো অ্যানালজেসিক ( analgesic) ও এন্টিপাইরেটিক ( antipyretic) গ্রুপের ঔষধ। যা সব ধরনের ব্যথা ও জ্বর নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি নাপা ৫০০ মি: গ্রা: ট্যাবলেটের দ্বিগুণ রয়েছে নাপা ওয়ান ট্যাবলেটে।
নাপা ওয়ান এর ডোজ :
নাপা ওয়ান প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্দেশিত ঔষধ। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পর পর ১ টি করে নাপা ওয়ান ট্যাবলেট খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া গ্রহণ করা যায়। দিনে ৪০০০ মি : গ্রা: এর বেশি গ্রহণ করা যাবে না। এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের নাপা ওয়ান ( napa one) দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
নাপা ওয়ান এর পার্শপ্রতিক্রিয়া :
১. যদিও এর তেমন কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই তারপরও মাঝে মাঝে হালকা ঝিমুনি হতে পরে,অবসাদ লাগতে পারে,মাথা ঘুরতে পারে।
২. লিভার ও কিডনি রোগীেদের শরীরে যেকোনো সমস্যা হতে পারে।
৩. অন্য কোন প্যারাসিটামল যুক্ত ঔষধের সাথে সেবন করলে ওভার ডোজের কারনে রি অ্যাকশন দেখা দিতে পারে।
নাপা আইভি :
নাপা আইভি সাধারনত ব্যবহার করতে দেখা যায় না । মাএারিক্ত জ্বরের কারনে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কোনো ভাবে জ্বর কমানো সম্ভব হচ্ছে না তখনই কেবল নাপা আইভি দেয়া যেতে পারে ।
Beximco pharmaceuticals প্যারাসিটাল ট্যাবলেট কে নাপা নামে বাজারে নিযে আসছে । বর্তমানে বাজারে নাপার অনেক চাহিদা।
Leave a Reply