আমারা কেন অসুস্থ হই? সুস্থ থাকতে কি খাওয়া উচিত? তা অনেকেই জানি না। সচেতন থাকলে অসুস্থ হবার কোন কারণ নেই।
আমরা কেন অসুস্থ হই :
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ( Unhealthy Food)
- দূষণকারী ( Pollution)
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ( Unhealthy Environment)
- পরিপাক ও হজমের সমস্যার কারনে ( Poor digestion)
- গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ( Household Chemicals)
- কৃষি কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক (Agricultural Chemicals)
- কসমেটিকস ( Cosmetics)
- দেহে অ্যাসিডিটি ( Acidity of Body)
- পুষ্টি শোষনের ক্ষমতা কমে যাওয়া ( Decreased nutrition abortion)
- শক্তি উৎপাদন স্বল্পতা৷( Decreased energy production)
- দেহে অক্সিজেন কমে যাওয়া ( Decreased Oxygen)
- মাইক্রোফ্রম এর অতিরিক্ত বৃদ্ধিন ( Microform overgrowht)
- বিভিন্ন ধরনের রোগ ও বয়স বৃদ্ধিশারীরিক ও মানসিক চাপ
সুস্থ থাকতে কি খাওয়া উচিত :
সুস্থতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা শুধু অসুস্থ হলেই বোঝা যায়।শরীর সুস্থ না থাকলে মানসিক ভাবেও ভলো থাকা যায় না। তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য নিজের চেষ্টা করতে হবে। দেহকে সুস্থ আর কর্মক্ষম রাখতে হলে জীবনের কিছু বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং এর সাথে সঠিক খারার নির্বাচন করতে হবে। প্রাকৃতিক ভাবে চাষকরা এবং প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা খাবার স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবন দিতে পারে।প্রাকৃতিক আমিষ গ্রহন করতে হবে ।
এর পাশাপাশি জীবনযাপনের ক্ষেএে প্রাকৃতিক নিয়মগুলো অনুসরণ করে চলুন।
মূলত ৩ ধরনের খাদ্য রয়েছে যেমন :
কার্বহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন। এগুলো ছাড়া আমাদের খাদ্য তালিকায় এনজাইম ও কো এনজাইম থাকা আবশ্যক কারন এনজাইম এবং কোএনজাইম ছাড়া মানব দেহের কোষগুলোতে রাসায়নিক বিক্রয়া ঘটে না।
আপনি যখন কোন খাবার খাবেন তখন ভাবতে হবে হবে যে, আমি সব উপাদান পাচ্ছি কি না? প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত সব খাবারেই এই পুষ্টি গুলো রয়েছে।
কৃত্রিম উপায়ে তৈরি খাবারগুলো সুস্বাদু, আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন তবে এগুলোর মধ্যে কোন পুষ্টি উপাদান নেই। এসব খাবার মনের চাহিদা মিটায় কিন্তু শরীরের চাহিদা মিটায় না। সুস্থ দেহ ও মনের জন্য ধুমপান, অ্যালকোহল, মাদকদ্রব্য চীরদিনের জন্য পরিহার করতে হবে। জ্ঞানী মানুষ বাঁচার জন্য খেয়ে থাকে, খাবারের জন্য বাঁচে না।
সুশৃৃঙ্খল জীবনযাপনের বিকল্প নেই:
সুস্থভাবে এবং ওষুধ ছাড়া বেঁচে থাকতে হলে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের বিকল্প নেই । নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া , খাবার নিয়ন্ত্রণ করা, পানি পান করা, ব্যায়াম করা এগুলো করলে জীবন হবে সুরক্ষিত। নিজের স্বাস্থ্যর ব্যাপারে নিজেকে যত্নশীল হতে হবে।
প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে, ভার উওোলন করতে হবে। নিয়ম মেনে হাঁটতে বা দৌড়াতে হবে।প্রতিদিন একটানা ৩ ঘন্টা সময় বসে থাকা যাবে না।মাঝে মাঝে একটু শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে।মাঝে মাঝে দাঁড়াতে হবে, হাটতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি সাপ্লিমেন্টারী ( Supplementary) হিসেবে কিছু ভিটামিন ও মিনারেল ব্যাবহার করা যেতে পারে। যেমন : ভিটামিন ডি৩, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়োডিন।
দেহের বর্জ্য অপসারণ করতে প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। সাদা ও পরিশোধিত শর্করা বাদ দিয়ে অর্গানিক শাক- সবজি, লাল ও কালো ফল, বীজ, বাদাম সামুদ্রিক মাছ ও চর্বি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফ্লেভারযুক্ত খবার, চিনিযুক্ত খাবার,প্রক্রিয়াযাত মাংস উৎপাদিত ডিম ও মাছ খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
নিয়মকানুন ঠিকঠাক ভাবে মেনে নিয়ে চলতে পারলে সুন্দর ভবে জীবনযাপন করা যায়। অতিব জরুরি (Emergency) হলে সাময়িক ক্ষেএে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যাবস্থার ভূমিকা অপরিসীম।
সুস্থ সুন্দর জীবন জাপনের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মিশে থাকতে হয় । ঔষধ ছাড়া জীবন অতিবাহিত করার পরামর্শ প্রদান করে Vantage Health Centre.
Leave a Reply