অমরত্ব সবাই চায়! মৃত্যুকে জয় করার জন্য আদিকাল থেকে বর্তমান বিজ্ঞান জগতে নানা রকম পন্থা আবিস্কারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। লাইফ এক্সটেনশন ফাউন্ডেশনের মতো শত সংগঠন মানবজীবন আর একটু দীর্ঘ করতে অনবরত বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গবেষণা করে যাচ্ছে।সবাই চায় যেন আমরা ১০০ বছরেরও বেশি সময় বাঁচতে পারি।
আমরা ১০০ বছরেরও বেশি সময় বাঁচতে পারি কিভাবে:
অনেক বিজ্ঞানীর মতে মানুষ ১০০ বছরেরও বেশি সময় বাঁচতে পারে।কিন্তু আমরা পৃথিবীতে কতকাল বাঁচব তা আমরা জানি না সৃষ্টিকর্তা ভলো জানেন। তবে সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে জীবন অতিবাহিত করলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দুইটি জিনিস দিয়েছেন।এগুলো হলো আমাদের – দেহ এবং সময়। সৃষ্টি জগতের উপাদান গ্রহণের মাধ্যমেই আমাদের দেহের যত্ন নেয়া এবং সময়ও বুদ্ধিমানের মতো প্রকৃতির সাথে সমন্বয় রেখে চলা উচিত। সময় মতো ঘুমানো এবং সময় মতো ঘুম থেকে উঠা প্রতিদিন হাটাহাটি করা সময় মতো নাস্তা করা । নিজের কাজ নিজে করা অন্য কারো উপর Dependent না হওয়া ।
সুস্থ থাকার জন্য কি করা উচিত
সবাই সুস্থ থাকতে চায়। সুস্থ থাকার জন্য একটা সুস্থ মন ও মস্তিষ্কের দরকার। ব্রেইন যত সুস্থ থাকবে শরীর ঠিক ততোটাই সুস্থ থাকবে। প্রতি সকালে উঠে শরীরের উপর ডিপেন্ড করে হাটাচলা করতে হবে বা দৌড়াতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে এমন ভাবে হাটতে হবে যেন ঘাম বের হয়ে যায়।
খাবারের সাথে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি থাকতে হবে। ফ্যাট জাতিয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। রাতে কম পরিমানে খাবার গ্রহণ করতে হবে। ব্যালেন্স ডায়েট তৈরি করতে হবে যেন শরীর ফিট থাকে। এছাড়া শরীরের অন্য কোন সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
সুস্থতা নির্ণয়ে নিজেই যথেষ্ট :
আমাদের দেশের ক্লিনিক/ হাসপাতাল গুলোতে রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে দেয়া হয়ে থাকে।তবে কিছু টেস্ট নিজেই ক্লিনিক / ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করিয়ে নিতে পারেন। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার কোনো সমস্যা আছে কি না। নিচের টেস্ট গুলো করে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনি কতটুকু সুস্থ আছেন:
- থাইরয়েড টেস্ট : টি৩ ও টি৪ মুখের লালা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাবার আগে জ্বর মাপুন ১০ দিন। ১০ দিন পর গড় তাপমাত্রা বের করুন, তাপমাত্রা যদি ৯৮° ফারেনহাইট এর কম থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন থাইরয়েডের সমস্যা আছে।
- যকৃত ও লিভার : অ্যালবুমিন, বিলিরুবিন, এ এল টি ও এ এস টি অনুপাত।
- পুরাতন প্রদাহ নির্ণয় ( Chronic Inflammation Test) : সিআরপি, হোমোসিস্টিন।
- কিডনি টেস্ট : এস ক্রিয়েটিনিন ( Serum Creatinine), ব্লাড ইউরিয়া, এস্টিমেটেড জিএফআর, এসিআর ( অ্যালবুমিন টু ক্রিয়েটিনিন রেশিও)
- ডায়াবেটিক রিস্ক টেস্ট : ফাস্টিং গ্লুকোজ টেস্ট, ফাস্টিং ইনসুলিন, গ্লুকোজ টোলারেন্ট টেস্ট এবং সিপেপটাইট।
- গাম ডিজিজ টেস্ট : ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত।
উপরের টেস্ট গুলোর রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে আপনার শরীর কতটুকু ঠিক আছে।সব নিয়মকানুন মেনে চললে পরবর্তী সময়গুলো ভলো কাটবে। মনে রাখা ভালো আমরা যা খবো,পান করবো এবং যে পরিবেশে চলাফেরা করব তার প্রভাব আমাদের শরীরে পরবে।
সব ধরনের গুরুত্বপূর্ন Health Tips পেতে আমার Purely Health Tips ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ।
সাস্থ্য ভালো রাখতে সব সময় ঔষধ না খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবেও সাস্থ্য ভালো রাখা যায়।প্রাকৃতিক ভাবে সাস্থ্য ভালো রাখতে ডা: মুজিবুর রহমান স্যারের Vantage Natural Health Centre এ যোগাযোগ করতে পারেন।
Leave a Reply