এইস বা প্যারাসিটামল হলো এসিটামাইনোফেন গ্রুপের ঔষধ। এইস সিরাপের কাজ কি সেটা জানতে হলে হলে অবশ্যই আপনাকে এইস বা প্যারাসিটামল কি সেটা জানতে হবে।
এইস সিরাপের কাজ হলো জ্বর, সর্দি,ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এইস সিরাপের ডোজ/ Doses of Ace Syrup
এইস সিরাপ সাধারনত ৭ মাসের বাচ্চা থেকে দেয়া হয়। ০-৬ মাসের শিশুদের জন্য এইস ড্রপ ব্যবহার করা হয়। এইস সিরাপের ডোজ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
৭ মাস থেকে ১ বছরের শিশুদের জন্য
১/২ (আধা) চামচ থেকে ১ চামচ পর্যন্ত ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ নার দেয়া যাবে।
১-৫ বছরের শিশুদের জন্য
১-২ (এক থেকে দুই) চামচ করে সিরাপ ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে ৪ বার
৬-১২ বছরের শিশুদের জন্য
২-৪( দুই থেকে চার) চামচ সিরাপ ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে ৪ বার।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য
৪-৮ (চার থেকে আট) চামচ সিরাপ ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে চার বার।
অন্য কোন সমস্যা থাকলে ডোজ কমানো যেতে পারে ।
অবশ্যিই এইস সিরাপের কাজ কি তা জেনে বুজে তারপর বাচ্চাদের সিরাপ দিতে হবে ।
এইস পেডিয়েট্রিক ড্রপ /Ace paediatric Drop :
এইস পেডিয়েট্রিক ড্রপ সাধারণত ০ – ৩ মাস বা ৬ মাসের বাচ্চাদের জন্য। ৩ মাসের নিচের শিশুদের জন্য ১০ মি: গ্রা: সিরাপ হিসাব করে ৪-৬ ঘন্টা পর পর সর্বোচ্চ ৪ বার দিতে হবে তবে জন্ডিস থাকলে ৫ মি: গ্রা: দিতে হবে এবং ৩-৬ মাসের শিশুদের ১০-১৫ মি: গ্রা: সিরাপ ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যেতে পারে।
শিশুদের ড্রপ দেয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে।
এইস সাসপেনশন :
এইস সাসপেনশন এবং সিরাপের ডোজ একই।
এইস সিরাপের কাজ ও পার্শপ্রতিক্রিয়া
এইস সিরাপ সাধারনত জ্বর, সর্দি,সাধারণ থেকে মধ্যম ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কানে ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, মাথা ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয় তাই এর পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই বল্লেই চলে তার পরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর সামান্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।এইস সিরাপের পার্শপ্রতিক্রিয়া গুলো হলো
- বমি বমি ভাব হতে পারে
- বমি হতে পারে
- শরীরে ঝিমুনি ভাব হতে পারে
- শরীরে অবসাদ লাগতে পারে
- শরীরে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে
- শরীরে লালচে ঘামাচির মতো ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে
- ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে
- ওভার ডোজ হলে বেশি ঘুম হতে পারে
এইসব সমস্যা দেখা দেয়া মাএ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এইস ড্রপের পার্শপ্রতিক্রিয়া
- বমি বমি ভাবও হতে পারে
- বমিও হতে পারে
- শরীরে ঝিমুনি ভাব হতেও পারে
- শরীরে অবসাদ লাগতে পারে
- শরীরে লালচে ভাবও দেখা দিতে পারে
- শরীরে লালচে ঘামাচির মতো ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে
- ঘুম ঘুম ভাব হতেও পারে
- ওভার ডোজ হলে বেশি ঘুমও হতে পারে
এইস সাপোজিটরির কাজ / Doses of Ace Suppository :
তীব্র জর, মাঝারি ধরনের ব্যথা যেমন মাথা ব্যথা, কানে ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, হাটু ব্যথার জন্য এইস সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। এইস ড্রপ, সিরাপ,ট্যাবলেট এ যাদের কাজ না করে তাদের জন্য এইস সাপোজিটরি বা প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। এইস সাপোজিটরির কাজ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে।
০-৩ মাস বয়সের শিশুদের জন্য:
০.৫ মি: গ্রা: বা ৪০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
৩ মাস থেকে ১ বছর বয়সের শিশুদের জন্য:
৬০-১২০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
১ – ৬ বছরের শিশুদের জন্য:
১২৫ মি: গ্রা: থেকে ২৫০ মি:গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে ৪ বার দেয়া যাবে।
৭ – ১৫ বছরের শিশুদের জন্য:
২৫০ – ৫০০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে ৪ বার দেয়া যাবে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য:
৫০০ – ১০০০ মি: গ্রা: সাপোজিটরি ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে ৪ বার দেয়া যাবে।
বি: দ্র: থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপার পর ১০২° বা তার বেশি জ্বর থাকলে তাহলে সাপোজিটরি দেয়া যাবে।
এইস সাপোজিটরির পার্শপ্রতিক্রিয়া / Side effects of Ace Suppository :
- পেট ফাঁপা দিতে পারে
- বমি বমি ভাব হতে পারে
- বমি হতে পারে
- শরীর অবস লাগতে পারে
- মাথা ঝিম ঝিম করতে পারে
- এলার্জির রিএকশন দেখা দিতে পারে
- ডায়রিয়া হতে পারে
ডায়রিয়া থাকলে সেই রোগী কে তীব্র জ্বর থাকলেও এইস বা কোনো সাপোজিটরি দেয়া যাবে না। সাপোজিটরি তাহলে কোন কাজ করবেনা।
Square Pharmaceuticals বাংলাদেশের স্বনামধন্য ঔষধ কোম্পানি । বাচ্চাদের জ্বর মাথা ব্যথার জন্য এইস সিরাপ বাজারে নিয়ে আসছে । এছাড়াও তাদের তৈরি অনেক ঔষধ বাজারে বিভিন্ন নামে পাওয়া যায় ।
Leave a Reply