ড্রাগন ফলের উপকারিতা /Benefits of Dragon Fruits গুলো হলো
- পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে।
- প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে যা দাতের মাড়ি শক্ত রাখে।
- অ্যান্টিঅক্সিেন্ট থাকে যা পেট কে ভলো রাখে।
- বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী কারন এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম,ফসফরাস, ভিটামিন সি।
- হলুদ ড্রাগন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী
- লাল ড্রাগনে শরীরের রক্তের অভাব দূর করে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- ক্যান্সারের ঝুকি কমায় ড্রাগন ফল।
- ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
- হজমে সাহায্য করে।
- হার্টের জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া ভালো।
- চুলের উপকার করে।
- চোখের উপকার করে।
- গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতা দূর করে।
ড্রাগন ফলে কি ওজন কমে
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে এন্ট্রি এক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকে যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। হার্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ ফল।
ড্রাগন ফলে কি হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ে
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।এছাড়াও লোহিত রক্ত কনিকা উৎপাদনেও ভূমিকা রাখে।অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য ড্রাগন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে?
১০০ গ্রামের একটা ড্রাগন ফলে ৬০ গ্রাম ক্যালরি থাকে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একজন ডায়াবেটিস এর রোগী ১০০ গ্রাম এর বেশি ড্রাগন ফল খেতে পারবে না যদি অন্য ফলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে ৫০ গ্রাম এর বেশি ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত নয়।
ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া উচিত
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে এন্ট্রি অক্সিডেন্ট ও উচ্চ মাএার ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি শরীরের মারাত্মক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।একজন সুস্থ সবল মানুষ গড়ে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম করে ড্রাগন ফল বা তার জুস খেতে পারে।
ড্রাগন ফল কি কি ভাবে খাওয়া যায়
সকালকে ফল খাবার উপযুক্ত সময় মনে করা হয়।কারন পরিপাকতন্ত ড্রাগনের চিনিকে ভাঙ্গে এবং পুষ্টিকর জিনিসগুলো শরীরকে দিয়ে দেয়। মধ্যাহ্নভোজের পরও ফল খাওয়া যায়। আর রাতের খাবারের পর ফল খেলে ঘুম ভালো হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ড্রাগন ফল খাওয়া কি ক্ষতিকর
এতো ভালো দিকের মধ্যেও কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। কিছু ড্রাগন ফলে এ্যালার্জি হতে পারে, জিহ্বা ফুলে যেতে পারে কোনো কনো সময় বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
ড্রাগন ফলের স্বাদ ভালো হয় না কেনো
পাকা ড্রাগন ফল খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু এবং মুখরোচক যা খাবার উপযোগী। কিন্তু ড্রাগন ফল যদি কাঁচা বা আধা পাকা হয় তাহলে এর ভিতর শক্ত থাকে যা খাবার উপযোগী থাকে না। এর স্বাদ ও ভালো লাগে না।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা /Benefits of Dragon Fruits হলো
ড্রাগন ফলের উপকারিতা/Benefits of Dragon Fruits বলে শেষ করা যাবে না । সব ধরনের উপকারী উপদান রয়েছে ড্রাগন ফলে । প্রচুর পরিমানে Hemoglobin থাকে ।
গর্ভবস্থায় কি ড্রাগন ফল খাওয়া যাবে
গর্ভাবস্থায় বা দুগ্ধাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া যাবে কিনা তা এখনও জানা যায় নি। তবে যারা রক্তশূন্যতায় ভূগে তারা ড্রাগন ফল খেতে পারবে।
হলুদ ড্রাগন ফল কতদিন পর পর খাওয়া যায়
যদি ড্রাগন ফল পরিমিত পরিমানে গ্রহণ করেন তাহলে আপনি এটি প্রতিদিন খেতে পারেন কোন সমস্যা নেই কিন্তু নিয়মের বাহিরে অনেক পরিমান যদি একবারে গ্রহণ করেন তাহলে ফাইবারের পরিমান বেশি হয়ে যাবে যা আপনার পেটের জন্য ক্ষতিকর।
হলুদ ড্রাগন কতটুকু খাওয়া উচিত / How much Eat Yellow Dragon
দিনে ২-১ টির বেশি হলুদ ড্রাগন খাওয়া উচিত নয় কারন এতে ফাইবার ওভারলোড হতে পারে যা পেট খারাপ করে এবং শরীর দূর্বল করে ফেলতে পারে।
কিভাবে ড্রাগন ফল খাবেন
ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে :
- প্রথমে পাকা ফল বাছাই করতে হবে। আধা কাঁচা ফল খাওয়া যাবে না। যে ফল চাপ দিলে নরম মনে হবে সেই ফল বাছাই করতে হবে।
- পরিষ্কার পানি দিয়ে পাকা ফলটি সুন্দর করে ধুয়ে নিতে হবে যদি বাজার থেকে কেনা হয় তাহলে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- পরিষ্কার পানি দিয়ে ছুরি ধুয়ে নিতে হবে।
- ফল কেটে পরিষ্কার পাএে রাখতে হবে এবং পরিবেশন করতে হবে।
ড্রাগন ফলের পার্শপ্রতিক্রিয়া
- অনেক ড্রাগন ফলে এ্যালার্জিক রিএ্যাকশন দেখ দেয়। যেমন : চলকানি হয়, ফুলে উঠে।
- অতিরিক্ত পরিমান গ্রহণ করলে বদহজম হয়,পেটে ব্যথা দেখা দেয়, ডায়রিয়া হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে মাঝে মাঝে।
- কিডনি সমস্যা জনিত রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল সমস্যার কারন হতে পারে।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো নিয়ম
বাচ্চাদের বয়স ৮ মাস হলে তখন থেকে ড্রাগন ফল খাওয়ানো যায়। বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো খুবই উপকারী কারন এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বাচ্চাদের চোখ, পেটের উপকার হয়। বাচ্চাদের জন্য জুস করে দেয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত পরিমান দেয়া যাবে না কারন এতে ডায়রিয়া হতে পারে।আরও খেয়াল রাখতে হবে ড্রাগন খাওয়ার পর এ্যালার্জি দেখা দেয় কিনা। এ্যালার্জি দেখ দিলে খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে।
যেকোন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানতে আমর ওয়েবসাইট Purely Health Tips ভিজিট করতে পারেন ।If you want to more information about dragon fruits you can visit Wikipedia.
Leave a Reply