ফাস্ট সিরাপ হলো প্যারাসিটামল (Paracetamol) গ্রুপের ঔষধ। যা অ্যানালজেসিক ( Analgesic) বা ব্যাথা নিরাময় করে আবার অ্যান্টিপাইরেটিক ( Antipyretic) যা জ্বর নিরাৃয়ের কাজ করে।ফাস্ট সিরাপের কাজ /Fast syrup er kaj হলো জ্বর, মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা, জয়েন্টে ব্যাথা ও ঠান্ডার জন্য ব্যবহার করা হয়।
ফাস্ট সিরাপ ও ট্যাবলেটের দাম
পেডিয়েট্রিক ড্রপ – ২০ টাকা
সিরাপ ৬০ মিলি- ৩৫ টাকা
সিরাপ ১০০ মিলি – ৫০ টাকা
ফাস্ট ১২৫ সাপোজিটরি – ৪ টাকা
ফাস্ট ২৫০ সাপোজিটরি – ৫ টাকা
ফাস্ট ৫০০ সাপোজিটরি – ৮ টাকা
ট্যাবলেট – পিচ ১.২ টাকা পাতা ১২ টাকা
প্রতি ৫ মিলি ফাস্ট সিরাপে আছে প্যারাসিটামল বিপি ১২০ মি: গ্রা:।
ফাস্ট সিরাপ ছাড়াও আছে ফাস্ট ৫০০ মি:গ্রা: ট্যাবলেট, ফাস্ট এক্স আর ৬৬৫ মি: গ্রা:, ফাস্ট প্লাস ( প্যারাসিটামল + ক্যাফেইন) , ফাস্টডল।
ফাস্ট সিরাপে কি মাথা ব্যাথা কমে
ফাস্ট সিরাপে মাথা ব্যাথা কমে এছাড়াও শরীরের যেকোনো ধরনের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।তবে এটি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যথা দূর করে।যেমন সামান্য কেটে গেলে, কোথাও পড়ে গিয়ে সামান্য পরিমানে ব্যথা লাগলে, জ্বরের কারনে শরীর ব্যথা হলে। বড় কোন ব্যাথার জন্য ফাস্ট সিরাপ কাজ করে না তার জন্য Analgesic ব্যবহার করতে হয়।
তীব্র জ্বরে ফাস্ট সিরাপের কাজ কি
তীব্র জ্বরের জন্য ফাস্ট সিরাপ কাজ করে তবে বেশি ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। এটি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের জ্বরের জন্য ব্যবহার করা যায়। তীব্র জ্বরের জন্য ব্যবহার করলে জ্বর কমে কিন্তু একটু পরে আবার জ্বর আসে। তীব্র জ্বরের জন্য ফাস্ট সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত। এতেকরে একসাথে জ্বর ও ব্যাথা কমে শরীর সুস্থ করে তোলে।
ফাস্ট পেডিয়াট্রিক ড্রপ :
সাধারনত ০ থেকে ৬ মাস বয়সের শিশুদের যে ঔষধ বা ড্রপ দেয়া হয় তাকে পেডিয়াট্রিক ড্রপ বলা হয়। ১ দিনের বাচ্চাদের সিরাপ দেয়া যায় না তাই ছোট বাচ্চাদের জন্য আলাদা ভাবে ড্রপ তৈরি কাি হয়।
ফাস্ট সিরাপের ডোজ / Fast syrup er dose
নবজাতক থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবাই প্যারাসিটামল ব্যবহার করতে পারে অবশ্যই আলাদা আলাদা ডোজ দিতে হবে অথবা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
০ – ৩ মাস বয়সের শিশুদের জন্য
০ থেকে ৩ মাস বয়সের শিশুদের জন্য ৬ থেকে ৮ ফোটা করে সিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
৩-৬ মাস বয়সের শিশুদের জন্য
৩ থেকে ৬ মাস বয়সের শিশুদের জন্য ৮ থেকে ১৫ ফোটা সিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
৬-৮ মাস বয়সের শিশুদের জন্য
৬ থেকে ৮ মাস বয়সের শিশুদের জন্য ১৫ফোটা থেকে ১/২ (আধা) চামচ সিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
৮ মাস – ১ বছরের শিশুদের জন্য
৮ মাস থেকে ১ বছরের শিশুদের জন্য ১/২ (আধা) চামচ থেকে ১ চামচ করে সিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
১-২ বছরের শিশুদের জন্য
১ থেকে ২ বছরের শিশুদের জন্য ১ চামচ থেকে ১ চামচ করে সিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
২-৫ বছরের শিশুদের জন্য
২ থেকে ৫ বছরের শিশুদের জন্য ২-৩ চামচ করে সিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
৫-৮ বছরের শিশুদের জন্য
৫ থকে ৮ বছরের শিশুদের জন্য ৩ চামচ করেসিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
৮- বয়স্কদের জন্য
৮ বছর বয়স থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য ৩ থেকে ৪ চামচ করেসিরাপ ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার দেয়া যাবে।
বি: দ্র: ৮ বছর বয়স থেকে ফাস্ট ট্যাবলেট খাওয়া যাবে। যারা ট্যাবলেট খেতে পারে তাদের জন্য ট্যাবলেট আর যারা ট্যাবলেট খেতে পারে না তাদের জন্য সিরাপ।
ফাস্ট সিরাপ খাওয়া কি ঠিক
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যায় এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যাথার জন্য ও দেয়া যায়। প্যারাসিটামল গ্রুপের এই ঔষধটি Acme Laboratories ফাস্ট / Fast নামে নিয়ে আসছে।
ফাস্ট সিরাপ কাদের দেয়া যাবে না
ফাস্ট সিরাপে বেশি কোনো সমস্যা হয় না তারপর ও সবাইকে এই সিরাপ দেয়া যাবে না। যাদের লিভারে সমস্যা আছে ও কিডনিতে সমস্যা আছে তাদের জন্য ডোজ কমিয়ে আনতে হবে অথবা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। রোগীদের একই সাথে ফাস্ট যুক্ত অন্য সব কিছু বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনকারীর জন্য সিরাপের ডোজ মেইনটেইন করতে হবে।
ফাস্ট সিরাপের মাএাধিক্য
১০ গ্রাম এর বেশি ফাস্ট বা প্যারাসিটামল ব্যবহারের ফলে যকৃতের ক্ষতি হয়।৫ গ্রাম এর বেশি ফাস্ট ব্যবহার করলে লিভারে ক্ষতি হতে পারে যদি রোগী ঝুকিপূর্ণ থাকে।
ফাস্ট সিরাপে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্যারাসিটামল ( paracetamol) বা ফাস্ট সিরাপের তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্যারাসিটামল ব্যাথা নাশক হিসেবে কাজ করে এবং জ্বরের কাজ করে। সব ঔষধের কম বেশি পার্শপ্রতিক্রয়া আছে। প্যারাসিটামল এর পার্শপ্রতিক্রয়া গুলোর মধ্যে চুলকানি হতে পারে মাথা ব্যাথা হতে পারে, ঘুম ঘুম ভাব বা ঘুম হতে পারে, বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে এছাড়াও অন্যান্য যেকোনো সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যা হলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
Leave a Reply